BIDA

Media Release

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে সর্বোচ্চ সেবাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

Mar 08, 2020

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে সর্বোচ্চ সেবাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোগ “ বিনিয়োগ বিকাশ” বাস্তবায়ন করার অভিপ্রায় কে সামনে রেখে আজ ( ৮ মার্চ, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,   সকাল ১১.০০ টা)  ঢাকার  প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুম-৩ তে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর  আয়োজনে   ব্যবসা সহজীকরণ এর সম্পত্তি নিবন্ধন সূচক নিয়ে এক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ  বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর  নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম “ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের কথা বলেছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে,   আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক (এম পি) প্রধান অতিথি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান ফজলুর রহমান (এম, পি) বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সংগঠন এবং বিভিন্ন চেম্বার অফ কমার্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ আজকের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ  করেন।

অনুষ্ঠানে  জনাব এ কে এম দিনারুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), (নির্বাহী সদস্য-০৫, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং জনাব জীবন কৃষ্ণ সাহা রায় (পরিচালক, OSS and Regulatory Reform ) ব্যবসা সহজীকরণ বিষয়ক প্রাথমিক ধারণা ও বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কিত উপস্থাপনা প্রদান করেন।

বিভিন্ন  প্রিন্ট ও  ইলেকট্রনিক মিডিয়ার  হতে  আগত সংবাদ প্রতিনিধিদের সাথে প্রশ্নোত্তর ও মতবিনিময় পর্বের পরে; বাংলাদেশের ক্রম উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি জনাব সালমান ফজলুর রহমান বলেন  “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি খাতের উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই দেশটাকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।  সরকারের কাজটা হলো অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেয়া আর বাংলাদেশ সেভাবেই এগিয়ে  যাচ্ছে।  তিনি আরো বলেন এখন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল  হিসাবে পরিচিত কিন্ত একটা সময় বাংলাদেশের অবস্থা আফগানিস্তের চেয়েও খারাপ ছিল।“   তিনি উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৬৮তম যা  আগের বছর ১৭৬তম ছিল অর্থাৎ এ সূচকে  গত বছর আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।  তিনি এবছর ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ বা ব্যবসার পরিবেশ সহজীকরণ সূচকে কমপক্ষে ৩০ ধাপ  এবং  আগামী বছর ১০০-এর নিচে বা দুই ডিজিটে উন্নয়নের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এসময়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক  বলেন ব্যবসা ও শিল্প দেশের গুরুত্বপূর্ন সেক্টর, দেশের উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ব্যবসা সহজীকরণ সূচকের উন্নয়ন করতে হবে। একটা দেশের ব্যবসা করা কতটা কঠিন বা সহজ প্রতিবছর তার সূচক নির্ধারণ করে বিশ্বব্যাংক। মূলত ১০টি খাতের ওপর ভিত্তিকরে বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর এই সূচক তৈরি করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, সম্পত্তি নিবন্ধনকৃত সম্পর্কিত সূচক। যেটি আইন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত। আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোম্পানি থেকে কোম্পানিতে ভূমি হস্তান্তর দলিল করতে ১৮০ দিন লাগত যা ব্যবসার জন্য ছিল নেতিবাচক,  এখন থেকে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোম্পানি থেকে কোম্পানির ভূমি হস্তান্তরের দলিল সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন আমরা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হব, আর  সেলক্ষ্যেই  ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতিসহ, বিভিন্ন সেক্টরে  উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিডা।  এসময়ে তিনি বিডা কে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে  বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল ইসলাম আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,  উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিডা। তিনি বলেন  সূচকের উন্নয়নের ফলেই বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বৃদ্ধি পাবে মানুষের জীবনযাত্রারমান, তাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে সর্বোচ্চ সেবা।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে  জনাব নরেন দাস, {সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়।  } জনাব মোঃ গোলালাম সারোয়ার, {সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ,   আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। } জনাব মোঃ শহিদুল আলম, {মহাপরিদর্শক নিবন্ধন, নিবন্ধন অধিদপ্তর।}  জনাব শামস মাহমুদ, {সভাপতি,  ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিস (ডিসিসিআই)]    জনাব নিহাদ কবির, [সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিস  (এমসিসিআই)],    মিয়া রহমত আলী, [Senior Private Sector Specialist, IFC ] প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। 

Recent News